আচ্ছা, আপনি জ্বীনে বিশ্বাস করেন নাকি জ্বীনের অস্তিত্ব মানেন? দেখুন এটা জ্বীন বিষয়ক বিতর্ক নয় তবে "বিশ্বাস" ও "মান্যতা" এর ডেফিনেশন'টা বুঝুন; "বিশ্বাস হলো হলো কোন বিষয়ের প্রমান স্বাপেক্ষ উপস্থিতি না থাকার পরও উহা সত্য বলে মনে করা" এবং মান্যতা হলো "কোন বিষয়ের সত্যাসত্য স্থিতিতে আপনার অবস্থানগত আচরণ" - এখন ইসলাম ধর্ম অনুসারে জ্বীনের প্রতি আপনার এই প্রকৃতপক্ষে অবস্থান আসলে কি?!
এটার ধর্মীয় বিশ্বাসের নীতিতে আপনাকে "জ্বীনের প্রতি মান্যতা রাখতে হবে (জ্বীন আছে সেটা মানতে হবে) - যদিও তাতে লজিক্যাল বা প্রমান স্বাপেক্ষে স্থিতিগত উপাত্ত বা বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি অনুপস্থিত থাকা স্বত্বেও উহাতে পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন" - সুতরাং এখানে প্রশ্ন করার (উত্তর জানার নিমিত্তে) নূন্যতম কোন অবকাশই নেই - যাতে আপনি তর্ক বা বিতর্কের নিমিত্ত নেই (নৈতিকভাবে); এখন ইসলাম ধর্ম বা যেকোন বিশ্বাস এর ক্ষেত্রেই যেহেতু তা প্রশ্নের উর্দ্ধে বিশ্বাসগত আচরণ ও প্রকৃতি তাই আপনাকে যখনই (১) তর্ক করছেন [লজিক ও এভিডিয়েন্স ছাড়াই যা কিনা প্রমান এর স্ট্যান্ডার্ড মানছে] তখনই আপন বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এবং নিজেই নিজের বিশ্বাসের প্রতি সন্দিগ্ধতায় দূর্বলতার আত্মপরিচয় ঘটাচ্ছেন [এটাকে ভালো/খারাপ বলার অবকাশ নেই - এটি আপনার ব্যক্তিগত বিষয় কেননা ধর্ম ও বিশ্বাসের ব্যপ্তীর উপযোগীতা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে ভিন্ন ভিন্ন] (২) আপনি আপনার বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপাতে প্রয়াসী হতে পারেন না - এটাও নিতান্তপক্ষে মানসিকতা স্বাপেক্ষিক অন্যায় বৈকি! আপনি মূল্যায়ন করুন "বিশ্বাস যেমন মানসিক স্থিতি তেমনি অবিশ্বাসও এক প্রকার বিশ্বাসগত বিরূপ অবস্থান মাত্র" উভয়ই আপনি একজন মানুষ হিসেবে স্বকীয়তা বজায় রেখে "আপনার পরম ধর্ম" [এখানে ধর্ম বলে বৈশিষ্ট্য অর্থে "মানুষের ধর্ম মানুষ" এটাই ক্লাসিফাইড করা হয়েছে/ কথাটা মানব সমাজের জন্য খেলো মনে হলেও আপনি লক্ষ্য করুন একটি লোহার ধর্ম হলো তার বৈশিষ্ট্য - কুকুরের ধর্ম হলো সে কুকুর - বিড়ালের বৈশিষ্ট্যবাচক ধর্ম সে কেবলি বিড়াল; তাহলে মানুষের মৌলিক বা প্রাথমিক ধর্ম হলো "একজন মানুষ" সেখানে ধর্মীয় ধ্যান ধারনার ভিন্নতা থাকা বৈচিত্র্যতা মাত্র; তাতে আপনার উদার মানসিকতায় কর্তব্য বৈকি]!
এখন এই "জ্বীনের প্রতি বিশ্বাসগত অবস্থানে যে মান্যতা" সেটার ইউটিলাইজেশান করতে হবে [সহজভাবে বললে যদিও জ্বীন দিয়ে আপনি আপনার কর্ম সিদ্ধিতে প্রমাণগত উপস্থিতি না থাকলেও আপনার মনে তথা ব্রেইনে যে জ্বীনের প্রতি বিশ্বাসগত স্থিতি সেটার পরিপূর্ণতা প্রয়োজন] যথাসম্ভব সাইকোলজিক্যালি যৌক্তিকতার মূল্যায়ন করে....
চলুন সবার আগে আমরা ইসলাম ধর্ম মতে জ্বীন এর কুরাআনগত জাস্টিফিকেশানের প্রতি কনসানট্রেট হই!