বিশ্বাসগত বিষয়ে জ্বীনের যেমন গড়ন ও গঠন এবং বৈশিষ্ট্য বিবৃত হয় তাতে আমাদের এই ইউনিভার্সে এমন অস্তিত্বের আদৌ কনশাসনেস এবং কনশিয়াসনেস ও কিছুক্ষেত্রে তো সাবকনশিয়াস বিশেষত্ব [এই যেমন উপকার বা ক্ষতি করা - আবেগ বা অনুভূতি ইত্যাদি বিষয় আইডিয়েন্টিফিকেশানাল পরিচিত] এমনটা প্রুফ বা প্রমান নেই; শুধুই যে অস্তিত্বের তরে সলিড ভিজ্যুয়াল তথা অপ্টিক্যাল প্রুফ হতে হবে এমনটাও নয় [কিছু মানুষ যেমন বলেই থাকেন সস্তা যুক্তি'তে "বাতাস দেখা যায় না - তাইবলে কি বাতাসের অস্তিত্ব নেই" এটা একান্তই কুযুক্তি এবং স্পষ্টত জ্ঞানের অভাব ও লজিক্যাল ফ্যালাসি; বাতাস দেখা না গেলেও এটার আচরণত নানা বৈশিষ্ট্যে এটার প্রতিরূপ উপস্থিতি ল্যাবে প্রমান করা খুবই সাধারণ বিষয় - কাগজে কলমে উহার বৈশিষ্ট্য ফিজিক্সের সূত্র মেনে স্থিতি প্রকাশ'ই নয় বরং সেগুলোর ইউটিলাইজেশানও পসিবল; তাই চোখে দেখলেই সেটা প্রুফড এমন বরং উহার তথ্য ও উপাত্তগত মাত্রিক পর্যবেক্ষণলব্ধ সিদ্ধান্তে যাচাই করার উপায়ে তা বৈজ্ঞানিক নানা রিভিউড প্রসেসে সিদ্ধ হতে হয় - তাহলেই সেটার সিদ্ধি সাধন তথা সূত্রের আয়াশে একটা স্বীকার্য তৈরী হয়] বরং উহার কোনরূপ বাস্তব ভিত্তিক লজিক্যাল এক্সিসটেন্স স্বাপেক্ষ নূন্যতম স্থিতির অবজার্ভেটিক নিদর্শন বিদ্যমান নেই। অন্যদিকে প্যারাসাইকোলজি যদিও সাইকোলজির সহিত রিলেটিভ বিদ্যা শিক্ষা নয় এবং উহা বিজ্ঞানের কোন শাখা বা ফলিত শাখাও নয় - তদুপরি এই আধ্যাত্মিকতা বা প্যারানরমাল ভাবনায় জ্বীন অস্তিত্ব ব্যাখ্যায় এভিডিয়েন্স যোগাতে যেসকল কর্ম ও পরীক্ষণ করা হয় ঐগুলোও নিতান্তপক্ষে অযৌক্তিক ও অসিদ্ধ!
এখন যদিচ এই "জ্বীন" বিষয়টি আক্ষরিকভাবেই অসিদ্ধ তদুপরি মানুষের বিশ্বাসগত আচরণে এটার স্থিতি থাকায় (১) আপনি যুক্তি দ্বারা তাকে বোঝানোর প্রয়াস নিতে পারেন (২) নিজে নিজেই বিভিন্ন যুক্তিগত বিশ্লেষণ ও পরীক্ষণ হতে উহার অবকাশ জাস্টিফাই করতে পারেন - তবে কখনোই কারোর বিশ্বাসে অনৈতিক উপায়ে আঘাত নয়; মানব মনের সাইকোলজি এর বিস্তরণে যে কনশিয়াসের যুক্তি ও জ্ঞান, সাবকনশিয়াসের আবেগ ও অনুভূতি, অবচেতন মনের প্রচ্ছন্নতা - উহাকে আঘাত করাটা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের তরে নিতান্তপক্ষে অনুচিত! আর হ্যা, যেসকল জ্বীনের বৈশিষ্ট্যে মানুষের আচরণ পরিবর্তন উহার ব্যাখ্যা এবং ডিজিজের ক্ষেত্রে মানসিক ভারসাম্যতায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাইকোলজি যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে - সুতরাং এমতাবস্থায় মনোবিশারদ অথবা সাইকিয়াট্রিস্টের সহায়তায় সমাধানমূলক শ্রেয়তর উপায় বৈকি; এখানেও আপনি দেখতে পাবেন কোন মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে এমন পেশেন্টের ক্ষেত্রে চিকিৎসক কখনোই তার বিশ্বাসে আঘাত নয় বরং সেটার এক্সেস লাভে তার উন্নতি সাধনে সচেষ্ট থাকেন - এমতাবস্থায় আপনি বা আমি কিংবা কেউই কারোর ভুল ভাঙ্গাতে সঠিক উপায় অবলম্বন ব্যতীত কেবলি আঘাতের নিমিত্তে অন্যের বিশ্বাসের প্রতি কটাক্ষটা কাম্য হতে পারে না!
এখন প্রাসঙ্গিকতা ক্রমে একটি ভিন্ন বিষয়ের অবতারণা প্রয়োজন বৈকি - ভূত বা জ্বীন [যারা জ্বীনে বিশ্বাসী বা মান্যতা রাখে তা ভূত আর জ্বীন এর তফাত করেন] কিংবা আত্মা তথা যেকোন প্যারানরমাল বিষয় [যা আসলে অতিপ্রাকৃতিক (অতি প্রাকৃতিক সেটাই যেটার প্রকৃতিগত কারন জানা যায়নি বলেই তা রহস্যময় আরকি) হিসেবে অভিহিত হয় বা আমরা করে থাকি] তাতে আশ্চর্য বা চমকে যাওয়া কিন্তু একদমই অস্বাভাবিক কিছু নয়; অর্থাৎ যদিচ "ভূত সত্য নয় তবে ভয় জিনিসটা মিথ্যা নয়" যেখানে মানব মনে তথা হিউম্যান ব্রেইনে "ভয়" বিষয়টা এক সহজাত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট - যার ব্যবহারিক সিগনিফিকেন্স আছে এবং এটাও বিবর্তনের ধারায় জিনে (জ্বীনে নয় কিন্তু) লিপিবদ্ধ এক কোডিং এর মতোই প্রবাহমান বিশেষত্বের বৈশিষ্ট্য! এখন এই সহজাত ভয়ের হেতু ভক্তির আগমন যাই হউক - আপনি যতোই ভয়ের মুখোমুখি হউন না কেন সেটা এক্সপ্লোর করুন যুক্তি দিয়ে এবং তথ্য এনলাইসিসে প্রেক্ষাপটে যাচাই করতে - মানুষ হিসেবে হঠাৎ চমকে যাওয়া যেমন খুব স্বাভাবিক তেমনি সেই চমক যতো দ্রুত কাটিয়ে সেটার অনুসন্ধানও সেইফ উপায়ে যুক্তিগত মাধ্যমে করাটাও ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ!
সবিশেষ মানব মনের সহজাত "যদি/কিন্তু/হয়তো" এর আড়ালে যদি নূন্যতমও জ্বীন বিষয়ে কনফিউশান বা হেজিটেশান থাকে তবে (১) আমরা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় অপেক্ষা করতে পারি - যতোক্ষন না অবধি তার প্রমাণিত সত্য সামনে আসে তবে একদমই আক্ষেপ নয় কিংবা অপবিজ্ঞান চর্চা নয় [বিজ্ঞানের মূল কাজ প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার করে উহার যৌক্তিক ও মাত্রাগত উপলব্ধির পরীক্ষণ পদ্ধতির বহিঃপ্রকাশ; সুতরাং ঐ একটা যদি বা কিন্তু'তে যদিও জ্বীন প্রকৃতির এমন অংশ হতে থাকে তবে তাতে আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাসে আপনার লাভ/ক্ষতি কোনটাই হচ্ছে না - ইউটিলাইজেশানের অভাবে আপনি লস করছেন এমনটাও নয়; প্রকৃতির প্রাকৃতিক সহজাত ক্রিয়া আমি বা আপনি বিশ্বাস বা মান্যতাতে নির্ভরশীল নয় মোটেই - এটা সর্বজনীনভাবে সার্বজনীনতায় সিদ্ধ] (২) আপনি এটার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ক্রিয়া চালতে পারেন [সেল্ফ স্যাটিসফেকশান হেতু - তবে বৈজ্ঞানিক পরিক্ষা ও নীরিক্ষার উপযুক্ত শর্ত মনে তবেই করতে হবে] এবং (৩) জ্বীন এর বিশ্বাসগত বিষয়ে যে সাইকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য উহার পজেটিভ ইউটিলাইজেশানে এথিক্যাল থাকার প্রয়াস [যেমন প্লাসিবো ক্রিয়া] তবে এক্ষেত্রে এটি একান্তই আপেক্ষিক বা নৈতিকতা বিবেচ্য ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিকতা স্বাপেক্ষিক ফ্যাক্ট মাত্র!
এই মুহূর্তে আমরা জ্বীন বিষয়ক আমাদের চারিপাশে প্রচলিত যেসব প্রথা তথা রিচুয়াল দেখা যায় সেগুলোর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের চেষ্টা করবো যেন আমাদের মন আরও স্বচ্ছ ও স্পষ্টতায় যুক্তির বাঁধন শক্তিশালী হয় - যাতে আমাদের মানসিক উৎকর্ষতা সাধন সম্পন্ন হয়!
চলুন....

Discover